মাহমুদউল্লাহ রান না পেলে কী যে হতো

মাহমুদউল্লাহ রান না পেলে কী যে হতো!
 
মাহমুদউল্লাহকে প্রাপ্তি মনে করছেন মাশরাফি।১ রানে ২৮ থেকে চোখের পলকে সেটা ৪ উইকেটে ৩০! বাংলাদেশের আরেকটি ব্যাটিং ধস দেখা গেল আজ নেপিয়ারে। তার প্রভাব পড়ল ম্যাচের ফলেও। ওয়ানডের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশ আটকে থাকল ব্যর্থতার চক্রে। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের মধ্যেও মাশরাফি বিন মুর্তজার স্বস্তি মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করেন, মাহমুদউল্লাহ ফিফটি না করলে বাংলাদেশের রান ১৪১ হতো না!
গতির ঝড় তুলে বাংলাদেশের সামনে হন্তারক রূপে আবির্ভূত হয়েছেন লকি ফার্গুসন। কিউই ফাস্ট বোলারের সামনে সাব্বির-সৌম্য দাঁড়াতেই পারেননি। এই ফার্গুসনকেই দারুণভাবে সামলে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। যদিও তাঁর দুর্দান্ত এক স্লোয়ারে বোল্ড হয়েছেন তিনি। কিন্তু আউট হওয়ার আগে অন্তত ৫২ রানের একটা ইনিংস তো খেলেছেন ! এমন আরও একটি ইনিংস অন্য একজন খেললেও তো স্কোর ১৮০ পেরিয়ে যায়। জোর লড়াইয়ের শক্ত জমি পান বাংলাদেশের বোলাররা।
এই হারে মাশরাফির ব্যাখ্যা খুবই সহজ। ৩০ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়াটাই মূল কারণ বললেন মাশরাফি। তবে পরাজয়ের মধ্যেও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংকে বড় প্রাপ্তি মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘মাহমুদউল্লাহ অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেছে বলে আমরা ১৪১ করতে পেরেছি। না হলে ১০০-১১৫-১২০ হতে পারত। এই সব ম্যাচে ছোট ছোট জায়গায় ভালো করতে পারলেই জেতা যায়। আমরা যদি ১৫০ করতে পারতাম অন্যরকম পরিস্থিতি থাকত।’
নিউজিল্যান্ড সফরে এখনো পর্যন্ত ম্যাচ জেতা দূরে থাক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারছে না বাংলাদেশ। কেন পারছে না, সেটির কারণ খুঁজে পেয়েছেন মাশরাফি, ‘নিউজিল্যান্ডে চার ম্যাচে কেউ না কেউ ভালো খেলেছে। গত বছর টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি ম্যাচ জিততে পারিনি। তবে যেদিন জিতেছি হয় ব্যাটিংয়ে কিংবা বোলিংয়ে সবাই মিলে ভালো করেছি। যে দিন হেরেছি সেদিন বেশির ভাগই ফ্লপ! এখানে যেটা হচ্ছে, কেউ ভালো করলে আমরা তার সহায়ক হতে পারছি না। এটিই আসলে বদলে দিচ্ছে ম্যাচের চিত্র।

0 comments:

Post a Comment