মাঠকর্মীদের ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দিলেন ‍মুশফিক



ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে প্রথমবারের মতো জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। রোববার তৃতীয় দিনে এসে ইংল্যান্ডকে ১৬৪ রানে অলআউট করে ১০৮ রানের বড় জয় ছিনিয়ে এনেছেন মুশফিক বাহিনী।

এই জয়ের পর নিজ হাতে গ্রাউন্ডসম্যানদের ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার তুলে দেন ক্যাপটেন মুশফিকুর রহিম।

এছাড়া গ্রাউন্ডসম্যানদের পুরস্কার হিসেবে আরও এক লাখ টাকা দেয়া হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে।

হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে স্টেডিয়ামে মোট ৬০ জন গ্রাউন্ডসম্যান আছেন। শেষ টেস্টের জন্য স্পিন সহায়ক উইকেট চেয়েছিলেন ক্যাপটেন।

তার আশা পূরণ করায় খুশি হয়ে মুশফিক এই পুরস্কার দেন।

‘একশ টেস্টও খেলতে পারে মুশফিক’


সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসলের সঙ্গে মাঠের মাঝে উইকেটকিপিং অনুশীলন করছিলেন মুশফিকুর রহিম। মাঠের বাইরে থেকে দেখছিলেন হাবিবুল বাশার। মুশফিকের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক, এখনকার নির্বাচক। যখন জানতে পারলেন ৫০ টেস্ট হতে যাচ্ছে মুশফিকের, উচ্ছ্বসিত হলেন হাবিবুল, ‘তাই নাকি, দারুণ ব্যপার!’


এই ‘দারুণ’ ব্যাপারটির স্বাদ বাংলাদেশে সবার আগে পেয়েছেন হাবিবুল। সাবেক অধিনায়ক পঞ্চাশতম টেস্ট খেলেছেন ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পরের বছরের জুলাইয়ে টেস্ট খেলার অর্ধশতকের স্বাদ পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এবার তাদের সঙ্গী হওয়ার অপেক্ষায় মুশফিক।

<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script>
<script>
  (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({
    google_ad_client: "ca-pub-6277635802306711",
    enable_page_level_ads: true
  });
</script>

৫০ টেস্ট খেলতে পারা একজন ক্রিকেটারের জন্য কতটা বড় অর্জন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শোনালেন হাবিবুল।

“অনেক বড় মাইলফলক অবশ্যই। যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য টেস্ট ম্যাচই সবার আগে। টেস্টের অর্জনগুলোই সবচেয়ে দামি। ক্যারিয়ার শেষে আপনাকে টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়েই সবার আগে মূল্যায়ন করা হবে। ৫০টি টেস্ট খেলা কিন্তু অনেক কঠিন। কারণ টেস্ট ক্রিকেট যে কোনো ক্রিকেটারের সত্যিকারের টেস্ট। এখানে টিকে থাকা কঠিন।”

“বাংলাদেশের বাস্তবতায় তো ৫০ টেস্ট আরও বড় ব্যাপার। কারণ আমরা খুব বেশি খেলার সুযোগ পাই না। অনেক সময় লাগে ৫০ টেস্ট খেলতে।”

পঞ্চাশতম টেস্টই হয়ে থেকেছে হাবিবুলের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। আশরাফুলের ক্যারিয়ার থমকে আছে ৬১ টেস্টে। হাবিবুলের বিশ্বাস, বাংলাদেশের হয়ে মুশফিক খেলে ফেলতে পারে একশ টেস্ট ম্যাচও!

“আশা করি, আমরা অনেক বেশি টেস্ট খেলব সামনে। মুশফিক ১০০ টেস্টও খেলতে পারে। ওর ফিটনেস, সামর্থ্য, ওর প্রতিজ্ঞা, নিবেদন…সব কিছুই বলে, যদি আমাদের টেস্ট সংখ্যা একটু বাড়ে, তাহলে ১০০ টেস্ট খেলতে পারে মুশফিক।”

মুশফিকের এই পথচলার শুরুটা খুব কাছ থেকেই দেখেছেন হাবিবুল। তার নেতৃত্বেই ২০০৫ সালে মুশফিকের টেস্ট অভিষেক। ১৭ বছর বয়সে মুশফিকের অভিষেকের সেই সময়টা স্পষ্টই মনে পড়ে হাবিবুলের।

“ছোট্ট একটা ছেলে, খুব লাজুক। ছেলেরা সবাই অনেক মজা করত ওর সঙ্গে। তবে ওর প্রতিভা আর সামর্থ্যকে শ্রদ্ধা-সমীহ করত সবাই।”

“টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেছিল ব্যাটসম্যান হিসেবে। টেকনিক্যালি মুশি আমাদের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন শুরু থেকেই, সেই ১৭ বছর বয়সেই। টেকনিক্যালি সাউন্ড ছিল বলেই ওই বয়সে ইংল্যান্ডের মত জায়গায় টেস্ট অভিষেক হয়েছিল।”

হাবিবুলসহ অনেকে তখনই বুঝে গিয়েছিলেন, অনেক দূর যাবে ছেলেটি।

“ওকে তখন দেখেই মনে হয়েছে অনেক বছর খেলবে, অনেক রান করবে। টেকনিক্যালি এত সাউন্ড ব্যাটসম্যান তখনও বাংলাদেশ খুব বেশি পায়নি। অনেক সময় কিছু মনে হলেও সেটা ভবিষ্যতে সবসময় সত্যি হয় না। ওর ক্ষেত্রে হয়েছে। তবে আরও ভালো হতে পারত।”

শেষ কথাটায় একটু আক্ষেপের ছোঁয়া। শুধু শুরুর সময় নয়, মুশফিককে পরেও কাছ থেকে দেখেছেন হাবিবুল। ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে মুশফিকের ওয়ানডে ক্যারিয়ার নতুন গতি পায় তার নেতৃত্বেই। সে বছরের জুলাইয়ে মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সময়ও দলে ছিলেন হাবিবুল। এখন নির্বাচক হিসেবে দেখছেন মুশফিকের নেতৃত্ব, এগিয়ে চলা।

মুশফিককে খুব ভালো করে চেনেন বলেই জানেন, টেস্ট রেকর্ড হতে পারত আরও উজ্জ্বল।

“ব্যাটিং দিয়েই দলে এসেছিল, ওর ব্যাটিংটা নিয়েই বলি। ওর যে সামর্থ্য, যে ওয়ার্ক এথিক্স, আমার মনে হয়, টেস্টে ওর আরও ভালো করা উচিত ছিল। একটা ব্যাপার হলো, আমরা নিয়মিত টেস্ট খেলি না। এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে। আমি নিশ্চিত, এখন যদি আমরা নিয়মিত খেলি সামনে, ওর ক্যারিয়ার আরও ভালো হবে।”

“সত্যি বলতে, টেস্টে ৩২ গড় ওর মতো সামর্থ্যের একজন ব্যাটসম্যানের পাশে মানায় না। তবে এখনও সুযোগ আছে। যদি আমরা নিয়মিত বেশি টেস্ট পাই, আমি বিশ্বাস করি, ওর গড় চল্লিশের ওপরে, এমনকি পঞ্চাশের কাছে থাকতে পারে। সেই সামর্থ্য ওর আছে।”

মুশফিকের নিজের প্রত্যাশা হয়ত এমনটিই। পঞ্চাশতম টেস্ট থেকে নতুন করে শুরু করতে পারেন, পঞ্চাশ গড়কে ধাওয়া।




বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৬
   
ভুলের বিশ্বরেকর্ড করলেন আম্পায়ার


বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টটি অনেকদিন মনে রাখবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ইতোমধ্যে স্টুয়ার্ট ব্রড বলেছেন এটা তার ক্যারিয়ারের সেরা পাঁচ টেস্টের একটি। ইংল্যান্ডের কোচ জানিয়েছেন, বাসায় বসে আরো একবার দেখার মতো টেস্ট ছিল এটি।

এ ম্যাচে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের বেশ কিছু রেকর্ড হয়েছে। পাশাপাশি হয়েছে দুটি বিশ্বরেকর্ডও। চলুন দেখে নেওয়া যাক সে বিষয়ে।

১. ধর্মসেনার ৮ ভুল সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে যে ১১টি সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয় তার মধ্যে ৮টি সিদ্ধান্তই দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। এক টেস্টে যা কোনো আম্পায়ারের নেওয়া সবচেয়ে বেশি ভুল সিদ্ধান্ত এবং বিশ্বরেকর্ড। বাকি তিনটি নিয়েছিলেন ক্রিস গাফানি।

২. রিভিউ-এর বিশ্বরেকর্ড: এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রিভিউ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে দুই দল মোট ২৬টি রিভিউ নেয়। তার মধ্যে ১৫টিতে সফল হয়। ১১টি বাতিল করা হয়। যা একটি বিশ্বরেকর্ড।
পরাজয়ের পর যা বললেন মুশফিক

জয়টা খুব কাছেই ছিল। দরকার মাত্র ৩৩ রানের। ১০ রান যুক্ত করতেই দুই উইকেটের বিদায়। ২২ রানের পরাজয় সাথে একবুক হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লো টাইগাররা।

এ পরাজয়ে শুধু টাইগাররা নয় হতাশ ১৬ কোটি বাঙ্গালীও। তবে হতাশ নন টাইগার দলপতি মুশফিক। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান মুশফিক।

মুশফিক বলেছেন, ‘আমরা হতাশ না। ১৫ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে এই কঠিন কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে মেলে ধরতে পেরেছি। আমরা প্রথম ইনিংসের চেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাট করেছি।’

ইংল্যান্ডকে শক্ত প্রতিপক্ষ উল্লেখ করে মুশফকি বলেন, ‘বর্তমান ইংল্যান্ড দলটি খুবই শক্তিশালী। যে কোন কন্ডিশনে তারা ধারাবাহিক। আর এমন কঠিন উইকেটে ইংল্যান্ডের মত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমরা সমান তালে লড়াই করছি। শেষ দিন পর্যন্ত খেলার ফলাফল ছিল সমান সমান।’
তীরে এসে ডুববে নাকি ভিড়বে বাংলাদেশের তরী!



 চতুর্থ ইনিংসে ২৮৬ কিংবা এর বেশি রান তাড়া করে জেতার সেই কীর্তিটাই গড়ার খুব কাছে বাংলাদেশ। কিন্তু খুব দূরেও। রান দরকার ৩৩, কিন্তু উইকেট আছে মাত্র দুটি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত তীরে তরী ভিড়বে না ডুববে?

এ যেন টি-০র শেষ কয়েক ওভার। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তখন পিন পড়লেও শব্দ শোনা যাবে। ব্যাট হাতে ততক্ষণে নতুন করে আসার আলো দেখাতে শুরু করেছেন শেষ বরসা সাব্বির।

ক্রিকেটের প্রতিটি দিনই শুরু হয় আশা নিয়ে, এই আশা তবু


একটু অন্যরকম; ইংল্যান্ডের মত পরাশক্তিকে হারানোর বাস্তব সম্ভাবনা। আর এই সম্ভবনা যাকে ঘিরে তিনি আর কেউ সম্প্রতি বিজ্ঞাপন করে বিতর্কে জড়ানো বাংলাদেশ দলের উদিয়মান ব্যাটিং ভরসা সাব্বির রহমান।

সেই সাব্বির, যার এটি অভিষেক টেস্ট। সেই সাব্বির, এক সময় যার পরিচয় ছিল টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নের মধ্যেই যিনি মাথায় তুলেছেন টেস্ট ক্যাপ।

সেই সাব্বিরই অসাধারণ ব্যাট করে টিকেয়ে রখেছেন আশার আলো। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে চেষ্টা করছেন দলে জয়ের তরী তীরে ভেড়ানোর। টানটান উত্তেজনার টেস্ট চতুর্থ দিন শেষে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চকর মোড়ে।

কাজটা এখনও কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। শেষ দিনে চাই ৩৩ রান, হাতে ২ উইকেট। তবে ভরসা একমাত্র সেই। দিন শেষে সেই জয়ের স্বপ্ন যেমন টিকেয়ে রাখলেন তিনি তেমনি সোমবারের সকালটাও যেন অন্যরকম দ্যুতি ছড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে অন্য উচ্চতায় তুলে ধরুক!
২৪ অক্টোবর ২০১৬,

‘১০-১৫ ওভার ব্যাটিং করলে জয় বাংলাদেশের’



কাজটা এখনও কঠিন, তবে অসম্ভব মনে করছেন না চন্দিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের প্রধান কোচ মনে করছেন, পঞ্চম ও শেষ দিন ১০-১৫ ওভার ব্যাটিং করা সম্ভব হলে চট্টগ্রাম টেস্ট বাংলাদেশই জিতবে।


জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ দিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৩ রান। হাতে আছে দুই উইকেট।

তৃতীয় দিনে খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা হাথুরুসিংহে বলেন, “আমাদের হাতে এখনও ৯০ ওভার রয়েছে। সুতরাং তাড়াহুড়ার কিছু নেই। এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ আগামীকাল যত বেশি সময় ব্যাট করা। যদি আমরা ১০-১৫ ওভার ব্যাট করতে পারি, তাহলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছে যাব।

গ্যারেথ ব্যাটির হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে মুশফিকুর রহিম ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগ পর্যন্ত ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। তবে এরপর দ্রুত মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বিকে হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দিনের বাকি সময়টুকু নিরাপদে কাটিয়ে দেন সাব্বির।

“আমরা সবাই আশায় ছিলাম, কেউ একজন সাব্বিরের সঙ্গে থাকবে। তাইজুল বা শফিউল দুই জনই ব্যাট করতে পারে। এই উইকেটে ব্যাটিং ক্রমশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মুশির ক্ষেত্রে বল যেভাবে লাফিয়ে উঠল তেমনটা হলে কারো কিছু করার থাকবে না। আমরা যা করতে পারি, বলের মেধা অনুযায়ী খেলা। যদি কোনো বল ভিন্ন আচরণ করে সেটা ভুলে গিয়ে পরের বলে মনোযোগ দাও।”

শেষ পর্যন্ত ফল যাই হোক শিষ্যদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন হাথুরুসিংহে।

“আমি খুশি যে, ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে ম্যাচের চতুর্থ দিনেও আমরা ম্যাচে আছি। আমার মনে হয় না, চার দিন আগেও আমাদের সম্ভাবনার কথা কেউ ভেবেছিল। আমাদের একটি ভালো পরিকল্পনা ছিল


নায়লা নাঈমের কারণে সাব্বিরকে চাপে ফেললো বিসিবি


নায়লা নাঈমের সঙ্গে ক্রিকেটার সাব্বির রহমানের অভিনীত বিজ্ঞাপনটির প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর সেই সাথে সাব্বিরকে চাপের মুখে রেখেছে বিসিবি। এই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করেই মল্ট বেভারেজ (কোমল পানীয়) অস্কারের সঙ্গে সাব্বিরের চুক্তি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট সংস্থাটি।বিজ্ঞাপনটি একদিকে যেমন জনপ্রিয় হয়েছে, তেমনই বিতর্কিত মডেল ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈমেরকারণে সমালোচিতও হয়েছে। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞাপনটি কুরুচিপূর্ন এবং অশোভন। ক্রিকেটারদের বিজ্ঞাপনে কাজ করার ব্যাপারে বোর্ডের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া থাকে। সাব্বির-নাঈম অভিনীত বিজ্ঞাপনটি সেসব নির্দেশনা মানেনি বলেই এমন সিদ্ধান্ত।এমন বিজ্ঞাপন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে, এমন ভাবনা থেকেই বিজ্ঞাপনটির প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এরই মধ্যে দেশের সবগুলো চ্যানেলেই বিজ্ঞাপনটি বন্ধ করা হয়েছে। আর এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছে অস্কার বেভারেজ কোম্পানিটি।জানা গেছে, সবমিলিয়ে বিজ্ঞাপনে কাজ করতে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন সাব্বির। আর বিজ্ঞাপন নির্মাণে খরচ হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। তাই, হুট কড়ে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে অস্কারের কর্মকর্তারা।বিসিবির পক্ষ থেকে দু’পক্ষ অর্থাৎ, সাব্বির এবং অস্কার; উভয়কেই মেইল পাঠানো হয়েছে। তবে চট্টগ্রামে টেস্ট খেলতে থাকা সাব্বির এখনো বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। সিরিজ শেষ করেই চুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।


রবিবার । ২৩ অক্টোবর ২০১৬


দিনশেষেও শুরুর সেই শট

                     

দুজনেই অলরাউন্ডার। তবে ব্যাটে-বলে কাল সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে গেছেন বেন স্টোকস, এগিয়ে তাঁর দল ইংল্যান্ডও


ঠিক নিয়ম নয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে দিনের সেরা পারফরমারের আসাই দস্তুর। কিন্তু সাকিব আল হাসান কাল আসেন না। ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেওয়া সত্ত্বেও। হয়তো সাতসকালে দিনের দ্বিতীয় বলে ‘পাগলামি’ শট খেলে আউট হয়ে যাওয়ার কারণেই! তবু দুই দলের সংবাদ সম্মেলনের চুম্বক অংশ সাকিবই, সকালের ওই শটের কারণে।

বাংলাদেশের অন্যদের মধ্যে কাল আর কেউ পাননি এক উইকেটের বেশি। আর ২৭ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারানোয় ব্যাটিংয়ে পারফরমার খোঁজা অনর্থক। অগত্যা ভরসা কোচিং স্টাফ। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গণমাধ্যমের সামনে। তাঁর দায়িত্বের পরিধির মধ্যে সাকিবের ব্যাটিং পড়ে না। তবে ওই দায়িত্বহীন ব্যাটিং যে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে হতাশার রেণু ছড়িয়ে দেয়, তা বলে যান ওয়ালশ, ‘সাকিবের আউটটি ছিল ভীষণ হতাশার। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ও আজ ব্যাটিং করতে নামে। জানত, আমাদের মূল ভরসা সে। গতকাল খুব ভালো ব্যাটিং করেছে কিন্তু নতুন দিনে ব্যাটিং করা তো নতুন শুরু। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাকিব আজ প্রথম ওভারে আউট হয়ে গেছে, যা আমাদের অন্য ব্যাটসম্যানদের প্রবল চাপে ফেলে দেয়।’ ইংল্যান্ডের জন্য ওই উইকেট ছিল অপ্রত্যাশিত এক উপহার। যাতে ভীষণ অবাক হওয়ার কথা স্বীকার করে যান ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস, ‘সকালের দ্বিতীয় বলে অমন শট বিস্মিত করার মতোই। অবশ্যই সাকিব ওদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। হয়তো ও ভেবেছে, মেরে খেলে আমাদের স্পিনারদের চাপের মুখে ফেলে দিতে। তবে মঈন ইনিংসজুড়ে যেভাবে বোলিং করেছে এবং উইকেট থেকে যেমন স্পিন পাচ্ছিল—তাতে ওর বিপক্ষে সাকিবের তা করা কঠিনই ছিল। ওর আউটে বাংলাদেশকে দ্রুত অলআউট করার দরজাটা খুলে যায় আমাদের জন্য।’

বাংলাদেশকে এরপর দ্রুতই অলআউট করে দেয় ইংল্যান্ড। ২৭ রানের মধ্যে শেষ পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে। এরপর নিজেরা দ্বিতীয় ইনিংসে আট উইকেটে ২২৮ রান তুললে লিড হয়ে যায় ২৭৩ রানের। চট্টগ্রামের উইকেট বিবেচনায় যা ৪৭৩ রানের মতো। তবু এখনো জয়ের আশা ছাড়ছেন না ওয়ালশ, ‘আগে আমাদের ওই শেষ দুটি উইকেট তুলে নিতে হবে। ম্যাচ এখনো উন্মুক্ত। এই পর্যায়ে যেখানে থাকলে আমরা খুশি হতাম, ইংল্যান্ড তার চেয়ে ২০-৩০ রানের মতো বেশি করেছে। আমার মনে হয়, বোলাররা আজ খুব ভালো লড়াই করেছে। একসময় তো পরিস্থিতি খুব, খুব ভালো দেখাচ্ছিল। কিন্তু এরপর ওরা ভালো এক জুটি গড়ল। এটাই টেস্ট ক্রিকেট।’ টেস্ট ক্রিকেটের জয়গানের পাশাপাশি নিজেদের জয়ের করণীয়টাও বলে দেন এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি, ‘আমার কাছে মনে হয়, ম্যাচ এখনো ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করতে হবে। আর ম্যাচে তো এখনো সময় আছে। জয়-পরাজয়ের কোনো একটি ফল তাই হবে।’ জয়ের জন্য ইতিবাচক ব্যাটিং করা এবং জুটি গড়ার কথা আলাদা করে বলেন তিনি, ‘দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাটিংয়ে আমাদের ইতিবাচক হতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে। খারাপ বল থেকে নিতে হবে রান। যদি দুটি কিংবা তিনটি জুটি গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমাদের ভালো সম্ভাবনা থাকবে। এখন আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ইংল্যান্ডের লিডকে ৩০০-র মধ্যে রাখা। কাজটি সহজ না। তবে আমি মনে করি, ম্যাচে এখনো দুই দলের সমান সম্ভাবনা।’

স্বাভাবিক কারণেই ইংল্যান্ড ক্যাম্পের ভাবনাটা অন্য রকম। প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা স্টোকস তো জয়ের আগাম চিত্রনাট্য লিখে ফেলছেন, ‘উইকেটে বল ঘুরছে। আর বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে রয়েছেন বেশ কয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আমাদের দুই অফ স্পিনারের বিপক্ষে ওদের খেলা কঠিন হবে। এ কারণেই বলছি, লিডকে ৩২০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে তা হবে দারুণ ব্যাপার। আশা করি, এরপর আমরা ওদের অলআউট করতে পারব।’ ওই ৩২০ পর্যন্ত লিড নিতে হলে হাতে দুই উইকেট নিয়ে যোগ করতে হবে আরো ৪৭ রান। উইকেটের চরিত্র বিবেচনায় যা মোটেই সহজ না। বল হাতে চার শিকারের পর ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা স্টোকস অবশ্য সতীর্থদের ওপর আস্থা রাখছেন, ‘এখনই তো ২৭০ রানের মতো এগিয়ে আছি। লিডকে যদি ৩০০, ৩১০, ৩২০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারি, তা হবে দারুণ ব্যাপার। আমাদের ব্যাটিং লাইনের গভীরতা অনেক। ব্রডের টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ওকসের আছে ৯-১০টি শতরান। আমাদের তাই আরো ৫০ রান যোগ না করার কোনো কারণ নেই।’

যদি সত্যি সত্যি আরো ৫০ রান যোগ করে ইংল্যান্ড, তাহলে? বাংলাদেশের আশার টানেল সরু হতে হতে একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অবশ্য এ মাঠেই বাংলাদেশের নাগালের মধ্য থেকে জয় দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি। খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট হারের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন এ বাঁহাতি। তেমন কেউ কি দাঁড়িয়ে যাবেন আবার চট্টগ্রামে, এবার বাংলাদেশের হয়ে?


 


সাকিবকে টাইগার উল্লেখ করে অভিনন্দন জানালো আইসিসি


বাংলাদেশের রেকর্ড এবং মাইলফলক বয় সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

আইসিসি তাকে এ জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।


টাইগার বলেও উল্লেখ করেছে আইসিসি। টেস্টে বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ১৫০ টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। শনিবার দুটি উইকেট পান তিনি। এর সুবাধে এই কীর্তি গড়েন সাকিব।

সাকিবকে অভিনন্দন জানিয়ে আইসিসি লিখেছে,  Congratulations to Shakib Al Hasan on becoming the first Bangladesh bowler to take 150 Test wickets! #BestofTest - Bangladesh Cricket : The Tigers


২২ অক্টোবর ২০১৬,

এই উইকেটে কেউ ‘সেট’ নয়

http://adf.ly/1f0rYg

ক্রিজে ছিলেন ২২১ মিনিট, খেলেছেন ১৭৯ বল, তবুও উইকেটে নিজেকে থিতু মনে হয়নি তামিম ইকবালের। বাংলাদেশের এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মনে করছেন, চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেটে কেউ ‘সেট’ নয়।


জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম বল থেকে সহায়তা পাচ্ছেন বোলাররা। উইকেট ক্রমশ ভাঙছে, তাই ব্যাটসম্যানদের কাজটা খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে উইকেট সম্পর্কে নিজের মূল্যায়ন জানান তামিম।

“উইকেটের বিষয়ে যদি সঠিক মূল্যায়ন করতে হয় তাহলে বলতে হয়, এখানে কেউ সেট নয়। আপনি ৭০, ৮০ কিংবা ১০০ করেন তাহলেও বলব এ উইকেটে কেউ সেট না। আমার প্রতিটা রান করতে হয়েছে খুব কষ্ট করে।”




কেন থিতু হওয়া যায় না তার ব্যাখ্যাটাও দিলেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক।

“যদি মনে করেন যে আপনি সেট তাহলে সমস্যা তৈরি হবে। কারণ, প্রতি ওভারে একটা-দুটা বলে কিছু না কিছু হচ্ছে। এখানে খেলা সহজ নয়, খুব কঠিন উইকেট। আমরা সবাই বুঝতে পারছি এটা। কিন্তু ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে হলে বলব, কেউ সেট না।”

ব্যাটিং দুরূহ উইকেটে সাতটি চারে ৭৮ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তামিম। সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশাল সব টার্নকেই।

“বাউন্স খুব একটা বেশি অসমান না। তবে স্পিন বেশি হচ্ছে, টার্ন বেশি হচ্ছে। এক সময় সেট হয়ে গেলে ব্যাটসম্যান অনেক কিছু করতে চায়। কিন্তু তখনই খুব ভালো একটা বল হয়ে যায়। এ কারণে বললাম যদি উইকেটে নিজেকে সেট মনে করেন তাহলে ভুল হবে।”





শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬

একটি উইকেটের জন্য ১১ বছর অপেক্ষা

টেস্টে একটি উইকেটের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হল ১১ বছর। কোনো কোনো অপেক্ষা তাহলে এত দীর্ঘও হয়। ২০০৫-এর জুনে চেস্টারলি স্ট্রিট টেস্টে শেষবার তিনি মোহাম্মদ আশরাফুলের উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৬-র অক্টোবরে নিলেন তামিম ইকবালের উইকেট।

শুক্রবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয়দিন ৭৮ রানে বাইশ গজে ধাতস্থ হয়ে ওঠা তামিমকে ফেরালেন ৩৯ বছর বয়সী ইংলিশ স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটি। অবশ্য এটা কোনো রেকর্ড নয়।

দুটি টেস্ট উইকেটের মাঝখানে দীর্ঘ বিরতির মধ্য দিয়ে যাওয়া ইংলিশ বোলার হলেন লেন হাটন। ১৯৩৯-এ টেস্টে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেয়ার ১৬ বছর পর ১৯৫৫-তে তৃতীয় উইকেট পেয়েছিলেন হাটন। সেটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার রিচি বেনোর।

কাল চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয়দিন তামিমকে আউট করার পর ব্যাটি যেভাবে উদযাপন করলেন তাকে কেউ কেউ বাড়াবাড়ি বললে অতিশয়োক্তি হবে না। ব্যাটি নিজেও তা স্বীকার করেছেন, ‘আমার মন হয়, বেনোকে ফিরিয়ে দেয়ার পর হাটন উদযাপনে অনেক বেশি সংযত ছিলেন।’ নিজের উদযাপন সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা, ‘আপনি যদি গড়পড়তা খেলোয়াড় হন, তাহলে সাফল্যের প্রতিটি মুহূর্ত আপনাকে উপভোগ করতে হবে।’

৪০ ছুঁই ছুঁই বয়সে টেস্টে ফিরেছেন তিনি অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে। বলেছেন, ‘জীবনে এর আগে কখনোই এতটা নার্ভাস হইনি আমি। যতটা এবার হয়েছি। কথা হল, যখন দ্বিতীয় সুযোগ পাবেন, আপনার তখন মনে হবে, আপনি সত্যিই বেঁচে আছেন।’

অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক নতুন বল তুলে দেন তার হাতে। এমনটি আগে কখনও তার বেলায় হয়েছে বলে মনে করতে পারেন না তিনি। ১০ রান বেশি দিয়েছেন। এমনটিই মনে হচ্ছে তার। বলেছেন, ‘আমরা কিছু কিছু খুব ভালো বল করেছি। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও ভালো করেছে।’

১৭ ওভারে একটি মেডেনসহ ৫১ রান দিয়ে তার প্রাপ্তি তামিম ইকবালের উইকেট। তাতেই খুশি ব্যাটি। উইকেটটা যে তামিমের। ধীরে ধীরে যিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তাকে থামানোর আনন্দই যে আলাদা। ব্যাটি তাই সত্যিই খুশি। দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেয়া।
   


স্তনের প্রতি পুরুষের নজরের তারিফই করলেন সানি!


 তাঁর সাফল্যই সবার নজর তাঁর দিকে ফিরিয়ে দিয়েছে৷ এক দুনিয়া ছেড়ে এসে অন্য পৃথিবীতে সবথেকে সমালোচিত হয়ে ওঠা চাট্টিখানি কথা নয়৷ সানি লিওনকে সেই সাফল্যের শিরোপা অনায়াসেই দেওয়া যায়৷ শরীরী আবেদনে তিনি পর্দায় হোক বা পর্দার বাইরেও হিল্লোল তুলতে পারেন৷ কিন্তু এ সবই সানি ফ্যাক্টর৷ আর পাঁচজনের ক্ষেত্রে তা খাটে না৷ তাহলে সানি লিওন কেন বাকি সকলকে নিজেদের স্তনের উপর নজর রাখতে বলেছেন? কেনই বা নারীর স্তনের প্রতি পুরুষের নজর দেওয়াকেও একরকম তারিফই করছেন?

আসলে এসবই তিনি করছেন নারীর স্বার্থেই৷ ভাল হোক বা খারাপ, নারী স্তনে যে পুরুষের নজর আটকে থাকে এটাই ঘটনা৷ ছুতোনাতায় পুরুষের দৃষ্টি চলে যায় সেদিকে৷ সব নারীরাই জানেন এ কথা৷ এবং কী করে সেই দৃষ্টি এড়িয়ে নিজের এগনোর পথ করে নিতে হয় হয় তাও জানেন৷ কিন্তু স্বভাব গুণে হোক বা দোষে, পুরুষরা নারী স্তনের প্রতি যতটা নজর দেন, নারীরাও তা দেন কি? যদি না দিয়ে থাকেন, তবে নারীদের ক্ষেত্রে তা মোটেও গুণ নয়, বরং রীতিমতো দোষেরই কাজ৷

সেই দোষই ধরিয়ে দিচ্ছেন সানি৷ তিনি জানাচ্ছেন, পুরুষরা নারীর স্তনের প্রতি যতটা দৃষ্টি দেন, ততটা দৃষ্টি যদি নারীরা নিজে দিতেন তাহলে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অর্ধেক কমে যেত৷ সম্প্রতি ব্রেস্ট ক্যানসারের এক সচেতনতা প্রসার ভিডিওয় এ আর্জিই জানাচ্ছেন তিনি৷ নারীদের সচেতন করিয়ে সানি জানাচ্ছেন, স্তন ক্যানসারের বেশিরভাগ ঘটনা ধরা পড়ে স্টেজ ৩ কিংবা ৪-এ৷ যদি গোড়াতেই তা ধরা পড়ত, তাহলে সারিয়ে তোলা যেত৷ আর তাই নিজেদের প্রতি আরও মনযোগী হয়ে স্তনের প্রতি নজর দিতে অনুরোধ করলেন সানি৷ আর তার মাপকাঠিতে থেকে গেলেন পুরুষরাও৷ পুরুষের নজর যেরকম ঘোরে নারীর স্তনে, নারীর নিজের নজরও যেন সেই মাত্রায় থাকে, আর্জি সানির৷
টাইগার মিরাজের সম্পর্কে যা বললেন ভারতীয় ক্রিকেটার অশ্বিন


স্পোর্টস ডেস্ক:‘বাংলাদেশ জিতলে পুরো দেশ খুশি হবে, আর ওমান জিতলে খুশি হবে ক্রিকেট।’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এই টুইট নিয়ে তোলপাড়ই পড়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা তখন একটু বিষিয়েই গিয়েছিল। তবে কালকের টুইটের পর সেই সম্পর্ক আবার মধুর হওয়ারই কথা। বাংলাদেশের নতুন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের প্রশংসা করেছেন অশ্বিন।

এই সময়ের সেরা স্পিনার তো বটেই, ভারতের সর্বকালের সেরা স্পিনারদেরই একজন হয়ে ওঠার আভাস অশ্বিনের বোলিংয়ে। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবেই কয়েক দিন আগে নিয়েছেন ২০০ উইকেট। ভারতের অফ স্পিনার নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে কাল খেলেননি, হয়তো টিভি পর্দায় বা মুঠোফোনে চোখ রেখেছিলেন


চট্টগ্রাম টেস্টে। তখনই মিরাজকে চোখে পড়েছে তাঁর।

অশ্বিন প্রথম টুইট করেছিলেন সাকিবের ওই অদ্ভুত ওভারের পর। একই ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই বার রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন মঈন আলী। অশ্বিন তখন লিখেছিলেন, ‘টেস্ট ইতিহাসে লাঞ্চের পর এ রকম ওভার মনে হয় দেখিনি।’

অশ্বিনের টুইটে মন্তব্য করে সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার মার্ক বুচার মনে করিয়ে দিয়েছেন, সামনেই তো ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের সিরিজ। অশ্বিন তো খুশি হবেনই। অশ্বিন ইঙ্গিতটা বুঝতে পেরে পাল্টা রসিকতা করেছেন। এরপর মেহেদির প্রসঙ্গে পাল্টা মন্তব্যে লিখেছেন, ‘ঠাট্টা বাদ দিয়ে বলি, মেহেদী হাসান নামের অফ স্পিনারটা দারুণ।’

এর আগেই সেই টুইট ঝড়ের কারণেই ব্যাপারটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অশ্বিনের এই মন্তব্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের বেশ কিছু টুইটার ব্যবহারকারী। কেউ খোঁচাও দিয়েছেন, ‘যাক অবশেষে তো অশ্বিনের মুখে বাংলাদেশ নিয়ে ইতিবাচক কিছু পাওয়া গেল।’

মেহেদী অবশ্য তখনো ইতিহাস গড়েননি। মাত্রই দারুণ দুই ডেলিভারিতে বেন ডাকেট ও গ্যারি ব্যালান্সকে আউট করেছেন । পরে তো আরও চার উইকেট পেয়েছেন।

অশ্বিন কদিন আগে পাকিস্তানের লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকে নিয়েও প্রশংসা করে টুইট করেছেন। এমন এক সময়, যখন পুরো ভারতজুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বললেন সবাই। বলিউডে পাকিস্তানি শিল্পী খেদাও স্লোগান উঠে গেছে। পাকিস্তানি কোনো শিল্পীর পক্ষে বললেই বরং রোষানলে পড়তে হচ্ছে।


শুক্রবার । ২১ অক্টোবর ২০১৬। ৬ কার্তিক ১৪২৩ । ১৯ মহররম ১৪৩৮

           স্পিনের জবাব স্পিনে দিচ্ছে ইংল্যান্ড



ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রানে অল আউট। সবক'টি উইকেট বাংলাদেশের স্পিনারদের। স্পিনের জবাব চট্টগ্রামে স্পিনেই দিতে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে অফ-স্পিনার মঈন আলি জোড়া আঘাত হেনেছেন। চার বলের মধ্যে তুলে নিয়েছেন ইমরুল কায়েস (২১) ও মুমিনুল হকের (০) উইকেট। কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৯ রান ছিল বাংলাদেশের। তারা লাঞ্চে গেছে ২ উইকেটে ২৯ রান নিয়ে।  
http://adf.ly/1ezvDF

এর আগে দ্বিতীয় দিনের সকালে তাইজুল ইসলাম ও অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিংয়ে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল আগের দিন ৩৬ বলে ৩৪টি ডট দিয়েছিলেন। ১৭ ওভারের ৮টি ছিল মেডেন। রান দিয়েছিলেন সাকুল্যে ২৮। ফিল্ডার মিস না করলে একটি উইকেট পেতেই পারতেন। কিন্তু কোনো উইকেট না নিয়ে প্রথম দিন শেষ করার আক্ষেপটা দ্বিতীয় দিন সকালে মাঠে পা রেখেই মিটিয়েছেন তাইজুল। তার ঘূর্ণিতেই দ্বিতীয় দিনের সকালে ধুঁকতে ধুঁকতে ২৯৩ রানে অল আউট হয়েছে ইংলিশরা। তাইজুল নিয়েছেন ২ উইকেট। বাকিটা মেহেদীর। দেশের পক্ষে অভিষেকে দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের কীর্তি তার।

৭ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই দিন শুরু ইংল্যান্ডের। ৩৬ রানে দাঁড়ানো ক্রিস ওকসের ৯টি ও ৫ রানে থাকা আদিল রশিদের ১০টি ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি আছে। এমন অল-রাউন্ডারের দলকে আরেকটি ধাক্কায় দ্রুত অল আউট করা যাবে তো? এই প্রশ্ন সামনে রেখে মুশফিকুর রহিমের দল মাঠে। এবং দিনের প্রথম বলেই তাইজুলকে খেলতে গিয়ে না বুঝে মুমিনুল হককে ক্যাচ দিয়ে দিলেন ওকস।

আগের দিনে অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের বড় ক্ষতি করা মেহেদী হাসান মিরাজ অন্য প্রান্তে চাপ বাড়িয়েছেন। লাভটা তুলেছেন তাইজুল। আরো ৩১ রান পর তাইজুলকে তুলে মারলেন আদিল (২৬)। কভারে অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন সাব্বির রহমান।

তাইজুলের পরের ওভারেই ঠিক ২৯০ রানের সময় অল আউট হতে পারতো ইংল্যান্ড। আধুনিক প্রযুক্তি বাঁচিয়েছে তাদের। আগের দিন মঈন আলি তিনবার আউট হয়ে তিনবারই রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন। তাকে আউট দেওয়া আম্পায়ার ছিলেন লঙ্কান কুমার ধর্মসেনা। এদিন তার সিদ্ধান্তে ব্রড আউট তাইজুলের বলে। কিন্তু রিভিউতে ডিআরএসের কল্যাণে ব্রড নট আউট। ধর্মসেনাকে আবার সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়!

তবে কিছুক্ষণের মধ্যে মেহেদী আঘাত হানেন। ব্রডকে (১৩) রিভিউতেই আউট করে অল আউট করেন ইংল্যান্ডকে। এটি মেহেদীর ষষ্ঠ উইকেট। অভিষেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারের ইতিহাস গড়ে প্রথম ইনিংস শেষ করলেন মেহেদী। ৩৯.৫ ওভারে ৮০ রানে ৬ উইকেট। ইকোনমি মাত্র ২.১৮ বছরের বোলারের কি দারুণই না বোলিং!
21 oct 2016


জ্বলেই নিভতে আসেননি  মিরাজ

http://adf.ly/1eziZN

স্বপ্নের ঝড় তুলে তাঁর আগমন। ইন্দ্রজালের বিভা ছড়িয়ে তাঁর আবির্ভাব। টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেট নিয়ে কাল বাংলাদেশের ক্রিকেটাকাশ রাঙিয়ে দেন ১৮ বছরের তরুণ মেহেদী হাসান। আর এ যেন ক্রিকেট-ঈশ্বরের নিজ হাতে লেখা চিত্রনাট্য! নইলে অভিষেকটা কেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই হবে!

ইংল্যান্ডের সঙ্গে তাঁর স্বপ্নের এক আশ্চর্য যোগসূত্র রয়েছে। ২০১০ সালে অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় পর্যায়ে বিভাগীয় সেরা ব্যাটসম্যান হন। পুরস্কারের ২৫ হাজার টাকা মেহেদীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই বছর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে ম্যাচের আগে। ওই প্রথম স্বপ্নের নায়ক সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের চর্মচক্ষে দেখা। তখনই তাঁর প্রতিজ্ঞাটা শাণিত হয় আরো, ‘এক দিন জাতীয় দলে আমাকে খেলতেই হবে।’ বাংলাদেশের সেই জার্সি মেহেদীর গায়ে ওঠে ওই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই! কাল তাই দিনশেষে কণ্ঠে অবিশ্বাস মাখিয়ে বলে যান, ‘মানুষ স্বপ্নে যেমন দেখে, সবই কি মিলে যায়! আমার বেলায় তো এক্কেবারে মিলে গেল! বিশেষত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক, সেখানে এমন পারফরম্যান্সের পর মনে হচ্ছে—সবই আল্লাহর ইচ্ছা।’

মেহেদী তো এমন অবাক হবেনই! তবে আর অবাক হন না কাল চট্টগ্রাম থেকে ফোনে ভেজাকণ্ঠ বাবার সঙ্গে কথা বলার সময়। তিনি যে সেই ২০১০ সালেই সন্তানকে স্বপ্নের পথে দৌড়ানোর অনুমোদন দিয়ে দেন! তাঁর এই বাবা খুলনায় গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাতেন। ছেলে ক্রিকেটের নেশায় মেতে থাকায় দিয়েছেন কত বকুনি! কত পিটুনি! কারণ তাঁর ধারণা, ক্রিকেট খেললে খারাপ সঙ্গে পড়ে সন্তান খারাপ হয়ে যাবে। অথচ সেই সন্তান এখন পুরো দেশের গর্ব! ২০১০ সালে সেই পুরস্কার নেওয়ার সময় বাবাকে সঙ্গে নিয়ে যান মেহেদী। স্টেডিয়ামে বসিয়ে দেখান বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে। সেখানে ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের কদর দেখে আর বাধা দেননি। কাল সেই সন্তান পাঁচ উইকেট পাওয়ার পর ফোনে কথা বলার সময় বাবার কণ্ঠ ভিজে উঠবে না কেন!

বাংলাদেশের জার্সি পরে মাঠে নামাই তো স্বপ্নপূরণ, সেখানে এমন পারফরম্যান্স! দিনশেষে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় মেহেদীর খুশি যেন ধরে না, ‘অনেক ভালো লাগছে। এ দিনটার কথা আমার সারা জীবন মনে থাকবে।’ আর তাঁর বোলিং যে নিজের স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছে, তাও অকপটে জানান তিনি, ‘এতটা ভাবিনি যে আমি পাঁচ উইকেট পাব। চিন্তা ছিল, প্রথম ম্যাচে নিজেকে আস্তে আস্তে মানিয়ে নেওয়ার। ভেবেছিলাম, পারফরম্যান্সটা যেন গড়পড়তা হয়। একটি-দুটি উইকেট পেলাম, ব্যাটিংয়ে ৩০ রানের মতো করলাম—এমন আর কি! আজকের পারফরম্যান্স আসলে আমার প্রত্যাশার বাইরে।’ দল থেকেও যে তাঁর কাঁধে প্রত্যাশার জোয়াল চাপিয়ে দেওয়া হয়নি, তাও বলেছেন মেহেদী, ‘টিম ম্যানেজমেন্টও পাঁচ-ছয় উইকেটের আশা করেনি। আমার কাছে তাদের চাওয়া ছিল, আমি যেন মোটামুটি ভালো করি। যেন ভালো জায়গায় বল করি। উইকেট না পেলেও এ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা ছিল না।’

অথচ এই মেহেদী কাল দিনজুড়ে হয়ে থাকেন ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তা। এ ক্ষেত্রে অধিনায়কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেন না, ‘‘আমার প্রথম বলটিই অনেক টার্ন করেছে। এরপর মুশফিক ভাই বারবার বলছিলেন, ‘বলগুলো স্টাম্পে রাখিস। তাহলে এলবিডাব্লিউ, বোল্ড হওয়ার সুযোগ থাকবে।’ শুরুর কয়েক ওভার বাইরে বাইরে বোলিং করেছি। ওরা সেগুলো সহজে ছেড়ে দিচ্ছিল। তবে যখন বুঝতে পারলাম, স্টাম্প বরাবর বোলিং করলে ফল পাব, সে চেষ্টা করেছি। তাতেই পেয়েছি সফলতা।’’ সফলতা বলতে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। এর মধ্যে শেষ শিকার বেশি প্রিয় মেহেদীর, ‘উইকেট সবগুলোই ভালো লেগেছে। তবে বোল্ড করে পঞ্চম যে উইকেট পেলাম, তা ভালো লেগেছে বেশি।’ কেন? ‘বলটা উইকেটে পড়ে সোজা গেছে। কিভাবে কী হলো, ও বোঝেনি। আমিও বুঝিনি’—কৈশোরের সারল্যে মেহেদীর স্বীকারোক্তি।

অভিষেকে বাজিমাত করা খুলনার এই অলরাউন্ডার কাল বেশি করে স্মরণ করেন দুজনকে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের কোচ সোহেল ইসলাম এবং খুলনার সতীর্থ বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাককে। তাঁদের কথা বলতে গিয়ে যেন কৃতজ্ঞতায় বুজে আসে মেহেদীর কণ্ঠ, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে আমাকে গাইড করে আসছেন সোহেল স্যার। কিভাবে উন্নতি করা যায়, ওনার সঙ্গে সব সময় কথা বলি। আর খুলনায় জাতীয় লিগে খেলার সময় রাজ ভাইও আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। উনি সব সময় একটা কথা বলেন, ওখানে যেমন বোলিং করি, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যেন তা-ই করি। বলেছেন, ‘তুই এক জায়গায় বোলিং করবি, কোনো বৈচিত্র্যের প্রয়োজন নেই। এক জায়গায় বোলিং করলে তোর বল কেউ খেলতে পারবে না।’ এটা আমার মাথায় সব সময় কাজ করেছে।’’

আর প্রতিজ্ঞার কথাও নিশ্চয়ই ভুলে যাননি মেহেদী। সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। গত বছর আগস্টেই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে নিজের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তাঁর উচ্চারণ, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে জাতীয় দলে ঢুকতে চাই। আর একবার ঢুকলে অন্তত ১০ বছর টানা খেলতে চাই।’ প্রথম স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আর তাতে প্রথম দিনেই মেহেদীর এমন পারফরম্যান্স যে, তাঁর দ্বিতীয় স্বপ্নপূরণের বিপক্ষে এই মুহূর্তে অ