মুশফিককে না পেয়েই

মাঠ থেকে হোটেলে ফিরেই যে যাঁর লাগেজ লবিতে এনে রাখছিলেন। আজ সকালে ওয়েলিংটন হয়ে নেলসনের ফ্লাইট। আগের রাতের মধ্যেই জিনিসপত্র গোছগাছ করে রাখাটা জরুরি।
রেইজেস লাটিমার হোটেলের লিফটে লাগেজ নিয়ে নামার সময় মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল তাসকিন আহমেদের। মুখে রাজ্যের অন্ধকার। বোলারদের প্রতিনিধি হিসেবে তাসকিনের মন খারাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। মাহমুদউল্লাহ তবু প্রবোধ দিলেন, ‘একটা ম্যাচ এ রকম হতেই পারে। সব ঠিক হয়ে যাবে। এটাই ক্রিকেট।’

গাপটিলকে বেশ দ্রুতই আউট করে মাশরাফি-সাকিবের অভিনন্দন পেলেন মোস্তাফিজ। তবে ছন্দটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি বাঁহাতি পেসার। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে মেনে নিতে হয়েছে বড় পরাজয় l ছবি: বিসিবি

নিউজিল্যান্ডের মাঠ একটু ছোট। তার ওপর হ্যাগলি ওভালের উইকেট দারুণ ব্যাটিংবান্ধব। ২৮০-৩০০ রানও এই মাঠে তাড়া করে জেতা সম্ভব বলে মনে করছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু ৩৪১ রান তাড়া করার জন্য একটু বেশিই। প্রতিপক্ষের স্কোর এ রকম উচ্চতায় চলে গেলে পরে ব্যাটসম্যানরা কতটুকু করতে পারলেন, সেটা আর বিবেচ্য থাকে না। তার ওপর বাংলাদেশের স্কোর ২৬৪ খুব খারাপও নয়, সেটাও ব্যাটিংয়ে পুরো মুশফিককে না পেয়েই। ব্যাটিংয়ে নামার আগেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যেতে হলো বোলারদের। এই ম্যাচ বাংলাদেশ হারলে বোলারদের জন্যই হারবে। তারা কেন ৩৪১ করতে দিল নিউজিল্যান্ডকে? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে হারের দায় বোলারদের ওপর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পড়ছে। তাঁদেরই একজন প্রতিনিধি হয়ে তাসকিনের মন ভালো থাকে কী করে?
তাসকিন-মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দেখা হওয়ার একটু আগে হোটেলের সামনেই কথা হচ্ছিল তামিম ইকবালের সঙ্গে। নিউজিল্যান্ডের রানটা কি একটু বেশিই হয়ে গেল? তামিমের উত্তর ছিল, ‘বেশি তো বটেই...ওরা ৩৪১ করার পরই তো ম্যাচ শেষ।’ তবু খেলার পর নাকি কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেননি। হয়তো ফলাফলটাকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের কাছে হ্যাগলি ওভালের উইকেট হাতের তালুর মতো চেনা। হাজার হাজার মাইল দূর থেকে আসা বাংলাদেশ দলের কল্পনা ২৮০-৩০০ পর্যন্ত গেলে স্বাগতিক হিসেবে তো নিউজিল্যান্ড ৩৪১ করতেই পারে।
তবে বাংলাদেশের বোলারদের জন্য দিনটা ছিল আসলেই খারাপ। মোস্তাফিজুর রহমানের কথাই ধরুন। ১০ ওভারে ২ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ৬২। এখন পর্যন্ত খেলা ১০টি ওয়ানডেতে এই প্রথম ৬০-এর ওপরে রান দিলেন। অন্য বোলারদের কেউ মোস্তাফিজের মতো ‘রেকর্ড’ না করলেও খুব যে ভালো বল করেননি, সেটা স্কোরকার্ডই বলে দেয়।
ফেরার ম্যাচে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার মূল্যায়ন, ‘মোটামুটি ঠিকঠাক ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও উন্নতি আসবে।’ তবে সার্বিকভাবে বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনিও, ‘আমরা একটু বেশি শর্ট বল করেছি। এই কন্ডিশনে শর্ট বল অবশ্যই করতে হবে, তবে তা কার্যকরভাবে। যে রকম নিউজিল্যান্ডের বোলাররা করেছে। তাদের শর্ট বলগুলো এসেছে আমাদের মাথা বরাবর। আমাদেরগুলো ছিল তাদের বুক উচ্চতায়।’
মাশরাফি যেটা বলছেন সেটার সঙ্গে বোলারদের সামর্থ্যেরও একটা যোগসূত্র আছে। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সঙ্গে বাংলাদেশের বোলারদের সামর্থ্যের তুলনা তো করতেই হবে, উইকেট-কন্ডিশন বোঝারও একটা ব্যাপার আছে। হ্যাগলি ওভালের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক—এটুকু উইকেটের চেহারা দেখেই বোঝা গেলেও একটা উইকেটের সব দিক বুঝে উঠতে সে ধরনের উইকেটে খেলার অভ্যাস থাকাটও জরুরি। বাংলাদেশের পেসাররা সেই সুযোগ কতটুকুই বা পান!
পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ মাশরাফি-তাসকিনদের দায়িত্ব নিয়েই তুলে ধরেছিলেন সমস্যাটা। চোখের সামনে ছাত্রদের এভাবে মার খেতে দেখে নিশ্চয়ই ভালো লাগেনি তাঁর। হোটেলে ফেরার পর রাশভারী এই ক্যারিবিয়ানকে হয়তো সে কারণেই আরও গম্ভীর লাগল। জ্যামাইকার কিংস্টন থেকে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নিউজিল্যান্ডের ছয়টি বিমানবন্দর ঘুরিয়ে ওয়ালশকে ক্রাইস্টচার্চে আনতে এবং আবার একই পথে ফেরত পাঠাতে নাকি খরচ পড়ছে প্রায় ২৯ লাখ টাকা! টাকাটা বিসিবির হলেও এর বিনিময়ে নিশ্চয়ই এমন বোলিং দেখতে আসেননি ওয়ালশ। এত টাকা নাসাকে দিলে পৃথিবীর কাছের কোনো গ্রহে ঘুরে আসা যেত কি না, তা নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে এখন রীতিমতো গবেষণা চলছে।
মাশরাফির কথায় অবশ্য ওয়ালশ আর শিষ্যরা কিছুটা সান্ত্বনা পেতে পারেন। ব্যাটিং-বোলিংয়ের তুলনায় যে জায়গায় উন্নতি করাটা সহজ ও কম সময়সাপেক্ষ, সেই ফিল্ডিংয়েও যে ব্যর্থই বাংলাদেশ দল। ফিল্ডিং নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি ইংরেজি ‘ল্যাথারজিক’ শব্দটাই ব্যবহার করলেন, ‘আমরা ফিল্ডিংয়ে অনেক ল্যাথারজিক ছিলাম। অনেক দুই-তিন হয়েছে যেগুলো চাইলে আটকানো যেত। ওখানেই ওদের ২০ রানের মতো বেশি হয়েছে। বোলিং-ফিল্ডিং ভালো হলে আমরা ৪০টি রান কম দিতাম। বাড়তি রানটাই ভুগিয়েছে।’
মাশরাফির বক্তব্যে যেন তামিমের কথারই প্রতিধ্বনি। বাংলাদেশ যতই শেষ পর্যন্ত ২৬৪ রান করুক, খেলা আসলে নিউজিল্যান্ড ৩৪১ করার পরই শেষ।


চার পেইসার নিয়ে খেলছেনা প্রথম ম্যাচে.ব্যাটিং শক্তিতে মনযোগ!! . . . সম্ভব একাদশ! উইকেট হবে ব্যাটিং সহায়ক! তামিম ইকবাল তো থাকছেই তার সাথে ওপেনিং কে করবে এটা বলা যাচ্ছেনা। ইমরুল কায়েছ খেলার সম্ভবনা আছে তবে আবার নেই! তবে সৌম্য সকার অপেনিং করার সম্ভবনাই বেশি উজ্জল। সাব্বির রহমান,মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ,সাকিব আল

 https://youtu.be/pai8Rc0I3R0

হাসান,মুশফিকুর রহিম,মোসাদ্দেক হুসাইন সৌকত! মাশরাফি বিন মুর্তজা,তাসকিন এ কজন থাকছে। মুস্তাফিজ খেলবে কিনা এটা নিরর্বর করছে মুস্তাফিজের উপর! যদি মুস্তাফিজ না খেলে তবে সে ক্ষেত্রে রুবেল খেলবে! _ ইমরুল/তানভীর/মিরাজ থেকে যে কোন একজন. হয়তো তানভীরের/মিরাজের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হবে কেননা স্পিনার লাগবে! সে ক্ষেত্রে ইমরুল,ও শুভাশিষ থাকতে নাও পারে। _ইমরুল না থাকার করন হলো, পার্টাইমার ইসপিনার দিয়ে আপনি কতক্ষন বল করাবেন! যদি তার মাইর খায় তর পর! কথায় আছে না বাকির কাজ ফাঁকি! তাই.তারনভীর/মিরাজ __সাকিব একা স্পিনার!! ক্যাপ্টেন বিপদে পড়বে পরে স্পিনার যদি না থাকে!
নিউ জিল্যান্ডে শুরুটা ভালো চান সাকিব

 দীর্ঘ দিন পর দেশের বাইরে সিরিজ। সেটিও নিউ জিল্যান্ডের মতো কঠিন কন্ডিশনে। সাকিব আল হাসান মানছেন, বাংলাদেশের অপেক্ষায় কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে এই অলরাউন্ডারের বিশ্বাস, শুরুটা ভালো করতে পারলে খারাপ করবে না বাংলাদেশ। বিপিএলের শিরোপাটা এবার জিততে মরিয়া ছিলেন সাকিব। বারবার বলেছেন সেটি। সেই লক্ষ্য পূরণের পর এবার জাতীয় দায়িত্ব পালনের পালা। অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতি ক্যাম্প করে বাংলাদেশ যাবে নিউ জিল্যান্ডে, সফরকারী দলগুলির জন্য যে দেশ সব সময়ই ছুঁড়ে দেয় কঠিন চ্যালেঞ্জ। অন্য মহাদেশের দলগুলি তো বটেই, তাসমান সাগরের ওপারের প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত খেই হারিয়ে ফেলে কিউই দেশে গিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন তবু খানিকটা কাছাকাছি। সিডনির ক্যাম্পটিকে তাই কাজে লাগানোয় গুরুত্ব দিচ্ছেন সাকিব। আর আশায় আছেন ওয়ানডে সিরিজে ভালো শুরুর। “অনেক দিন পর আমরা দেশের বাইরে খেলতে যাচ্ছি। কন্ডিশন পুরো ভিন্ন। আমাদের জন্য হবে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আশা করি অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্পটি অনেক কাজে দেবে। এর পর ওয়ানডে সিরিজটি যদি আমরা ভালো ভাবে শুরু করতে পারি, তাহলে আশা করি, পুরো সিরিজই ভালো যাবে আমাদের।” নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের সফরের শুরু ওয়ানডে দিয়েই। ২৬ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু তিন ওয়ানডে, তিন টি-টোয়েন্টি, দুই টেস্টের সফর। ওয়ানডে সিরিজের আগে ২২ ডিসেম্বর আছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ।
মাঠে নেমেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন আশরাফুল



প্রায় তিন বছর পর ব্যাট হাতে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নামলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। আর নেমেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ৩ বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আশরাফুল। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয় গত আগস্টে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে আরও অপেক্ষা করতে হবে আশরাফুলকে।
আগামী মঙ্গলবার যুবাদের এশিয়া কাপে অংশ নিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল শ্রীলংকায় যাবে। তার আগে রোববার বিকালে প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ১৯ দলের ৫ জন ছিল আশরাফুলের লাল দলে।
আগে ব্যাট করতে নেমে আশরাফুলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ২২৪ রান করেছে লাল দল। আশরাফুল ১১০ বলে ১১৫ রান করেন।
 সুইস ব্যাংকে রোনালদোর ২ কোটি ইউরো 

 

   
রোনালদোর আয়ের বিবরণী প্রকাশ করল এল মুন্ডো। ফাইল ছবিক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আয় বিবরণী প্রকাশ করেছে স্পেনের একটি পত্রিকা। তাতে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে রোনালদোর ঘোষিত আয় ছিল ২২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। আর সুইজারল্যান্ডের ২২টি ব্যাংকে তাঁর দুই কোটি ইউরো জমা আছে। আর নিজের দেশ পর্তুগালের পাঁচটি ব্যাংকে আছে মাত্র ৩৩ হাজার ৪৫২ ইউরো। এই বিবরণী রোনালদো নিজে জমা দিয়েছেন স্পেনের আয়কর দপ্তরে। রোনালদোর মুখপাত্রের পক্ষ থেকে যে আয়ের ​বিবরণী প্রকাশ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এল মুন্ডোর খবর মিলে যায়।

সম্প্রতি রোনালদোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোনালদো নাকি ১৫ কোটি ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছেন। তবে রোনালদোর পক্ষ থেকে এই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। সততা প্রমাণে নিজের আয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রকাশও করেছেন। এবার আরও বিস্তারিত আয় বিবরণী ​প্রকাশ করল এল মুন্ডো।

প্রত্যেক বছর আয়কর দপ্তরে কর্মজীবীদের রিটার্ন দাখিল করতে হয়। সেই রিটার্নে তাঁরা এক বছরে তাঁদের আয় দেখান। আয়কর কম করানোর জন্য অনেকে নিজের আয় লুকান। স্পেনের মতো দেশে ক্ষেত্রবিশেষে প্রায় ৪০ শতাংশও আয়কর দিতে হয়। মিলিয়ন ইউরো যাঁরা আয় করেন, দেখা যায় বেতনের অর্ধেকের কাছাকাছি অঙ্ক করের পেছনেই চলে যাচ্ছে। এ কারণে সেসব দেশে কর ফাঁকির চেষ্টা চলে। আর কর বিভাগের পক্ষ থেকে চলে ফাঁকিবাজদের জালের মধ্যে ফেলা। এভাবেই লিওনেল মেসির কর ফাঁকির বিষয়টি ধরা পড়েছে। এবার রোনালদোর দিকে অভিযোগের তির।

রোনালদো কর ফাঁকি দিয়েছেন কি না, এ আলোচনার মধ্যেই এবার এল মুন্ডো রোনালদোর আয়ের রিটার্ন প্রকাশ করল। তাতে দেখা গেছে, ফুটবল খেলেই বরং রোনালদোর আয় কম। কারণ স্পেনের ভেতরে তিনি আয় করেছেন ২ কোটি ৩৫ লাখ ইউরো, স্পেনের বাইরে ২০ কোটি ৩৭ লাখ।

সুইস ব্যাংকে যে ২ কোটি ইউরো রেখেছেন, এর ১ কোটি ৭০ লাখই একটি ব্যাংকে তিনটি ভিন্ন হিসাবে। বাকি ৩০ লাখ ইউরো রেখেছেন সুইজারল্যান্ডের ১৯টি ভিন্ন ভিন্ন আঞ্চলিক ব্যাংকের শাখায়।

এ ছাড়া রোনালদোর শেয়ারবাজারে কিছু বিনিয়োগ আছে। আছে বন্ড, রিয়েস্ট স্টেট বিনিয়োগ।
সিডনিতেই তৈরি হবেন মোস্তাফিজ

 
মোস্তাফিজুর রহমান 
 দেখুন মোস্তাফিজুর রহমান এর রোমাঞ্চ কর উইকেট  ভিডিও 
VID-20160418-WA0013.mp4 - 829 KB




মোস্তাফিজুর রহমান কথা দিলেন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কথা বলবেন। কাঁধের অস্ত্রোপচার, পুনর্বাসন, অনুশীলন নির্বিঘ্নে সারতে দীর্ঘদিন সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলেছেন বাঁহাতি পেসার। যতবারই তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে, ‘কিচ্ছু জানি না’ কিংবা ‘আগে সুস্থ হয়ে উঠি’ বলে এড়িয়ে গেছেন। অবশেষে ‘ফিজ’ কিছু বলবেন বলেই সাগ্রহে বিসিবি একাডেমি ভবনে তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার আগে একটু সময়ের জন্য পাওয়া যায় মোস্তাফিজকে। চোখে-মুখে ফিটনেস ফিরে পাওয়ার আনন্দ। জাতীয় দলের বাইরে থাকার কষ্টটা কেমন বুঝেছেন মোস্তাফিজ। তবে এই বাস্তবতা তিনি মেনে নিচ্ছেন, ‘খেলতে গেলে ভালো-খারাপ সময় আসবে। এটা বলে তো লাভ নেই।’

পেছনে যা হওয়ার হয়েছে, মোস্তাফিজের চোখ এখন সামনে। দীর্ঘ পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া শেষে বাঁহাতি পেসার তৈরি হয়েছেন নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য। আগে কখনো সেখানে খেলা হয়নি, তাই বাড়তি রোমাঞ্চ কাজ করছে তাঁর মধ্যে। নিজের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন কিউইদের বিপক্ষেই। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়েছেন ২২ রানে ৫ উইকেট, ক্রিকেটের এই সংস্করণে যেটি তাঁর সেরা বোলিং। নয় মাস পর তাদের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে যখন ফিরবেন, নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাসী করবে বিশ্বকাপের বোলিংটা। মোস্তাফিজের আসল অনুপ্রেরণা অবশ্য তাঁর ক্যারিয়ারটাই, ‘নিজের সব পারফরম্যান্সই আমার ভালো লাগে। এবারও ভালো লাগবে।’
আবির্ভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হইচই ফেলা দেওয়া মোস্তাফিজ বোলিংয়ে ফিরলে কিছু একটা হবেই—এমন একটা বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দলে। কবে তিনি মাঠে নামবেন—কাটার, ইয়র্কার, স্লোয়ারে এলোমেলো করে দেবেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের! তাঁর বোলিং-সৌন্দর্যে ডুব দেওয়ার অপেক্ষায় আসলে সবাই। অস্ট্রেলিয়ায় রওনা হওয়ার আগে ট্রেনার-বিসিবির চিকিৎসক জানিয়েছেন, মোস্তাফিজ অনুশীলনে সামর্থ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ দিয়ে বল করেছেন। কিন্তু ‘স্টক’ বল নিয়ে কাজ করা হয়নি তাঁর। মোস্তাফিজ আশাবাদী, সিডনিতে নয় দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পেই নিজেকে শতভাগ তৈরি করে নেবেন, ‘এখন ভালো আছি। সবকিছু ভালো যাচ্ছে। নিজের বলগুলো নিয়ে কাজ করার সময় আছে।’
বিদায় নিয়ে যখন ভরা মাইক্রোবাসে উঠবেন, রসিকতা করেই মোস্তাফিজের প্রশ্ন, ‘আমার জায়গা আছে?’ দ্রুত ফাঁকা সিটে গিয়ে বসেন ২১ বছর বয়সী পেসার। ২টি টেস্ট, ৯টি ওয়ানডে, ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলা মোস্তাফিজের ছোট্ট ক্যারিয়ারের সঙ্গে ছবিটা মিলিয়ে নিতে পারেন, চোটে পড়ে দীর্ঘদিন বাইরে থাকলেও দলে তাঁর জায়গাটা কেউ নিতে পারেনি।
[URL=http://up07.net/wcyf93xr98tk]VID-20160418-WA0013.mp4 -  829 KB[/URL]

বাংলাদেশকে নিয়ে ভয়ে আছেন সাঙ্গাকারা!


  ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬


 মেহেদী মারুফদের মতো তরুণদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত সাঙ্গাকারা। ছবি-শামসুল হক।২০১৫ বিপিএলে ১০ ম্যাচে ৩৪৯ রান করে কুমার সাঙ্গাকারা ছিলেন ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সবার ওপরে। এবার তাঁর রানটা গতবারের চেয়েও বেশি, ১৩ ম্যাচে ৩৭০। তবুও লঙ্কান কিংবদন্তির জায়গা হয়নি শীর্ষ তিনে! ১৩ ম্যাচে ৪৭৬ রান করে সবার ওপরে তামিম ইকবাল, ১৪ ম্যাচে ৩৯৬ করে দুইয়ে মাহমুদউল্লাহ ও ১৫ ম্যাচে ৩৭৭ রানে তিনে সাব্বির রহমান।

বোলিংয়ের শীর্ষ তিনে বিদেশি বোলার থাকলেও সেরা দুইয়ে থাকার সুযোগ ছিল শফিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ শহীদেরও। চোটে ছিটকে পড়ায় সেটি সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের দুই পেসারের। তবে এটা ঠিক, এবার বিপিএল স্থানীয়দের দাপটই বেশি। জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলো ছড়িয়েছেন তরুণেরাও।

 http://up07.net/wcyf93xr98tk?killcode=zx1tonadio

 অনেক ‘অচেনা’ খেলোয়াড় চলে এসেছেন পাদপ্রদীপের আলোয়। টুর্নামেন্টে স্থানীয় তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ সাঙ্গাকারা। লঙ্কান কিংবদন্তি তো ভয়ই পাচ্ছেন, মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের সামনে নিজ দেশ কেমন যে খেলে! বিপিএল ফাইনালের নায়ক কাল ম্যাচ শেষেই বললেন, ‘যেভাবে বাংলাদেশে দুর্দান্ত তরুণ খেলোয়াড়েরা উঠে আসছে কিছুটা ভয়ই পেয়েছি! শ্রীলঙ্কার জন্য সিরিজটা কঠিনই হবে।’ সাঙ্গাকারা উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাদের নিয়ে, ‘বাংলাদেশের স্পিন মজুদ ভালো, পেস আক্রমণ ভালো। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ফিটনেসে। যেভাবে তরুণ ব্যাটসম্যান বেরিয়ে আসছে, সেটা খুবই রোমাঞ্চকর বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তারা দুর্দান্ত। সবাই টেস্টেও ভালো করবে। আশা করি এটা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হবে।’ অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়ে রাজশাহী কিংসকে ফাইনালে তুলেছেন ড্যারেন স্যামি। দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারও মুগ্ধ টুর্নামেন্টে স্থানীয় তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে, ‘টুর্নামেন্ট থেকে অনেক তরুণ খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো। তরুণেরা সিনিয়র ও বিদেশি খেলোয়াড়দের কাছে আসছে, শিখছে।’ বড় তারকাদের ছায়ায় পড়ে না থেকে নিজেদের দারুণভাবে চেনানো—অনেক নেতিবাচক খবরের ভিড়ে এই বিপিএলের প্রাপ্তি বোধ হয় এটাই।

সাকিব-তামিমের বিকল্প কাউকে দেখছেন না মাশরাফি ০৯ ডিসেম্বর , ২০১৬ নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে বাংলাদেশের দুই অধিনায়ক কতটা প্রস্তুত? ছবি: শামসুল হকবাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক তো আফসোসই করছেন, সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজে মোস্তাফিজ থাকলে টেস্ট ও ওয়ানডে দুটি সিরিজই জিততে পারত দল। বড় দলের রিজার্ভ বেঞ্চ সব সময়ই শক্তিশালী হয়, থাকে অনেক বদলি খেলোয়াড়। গত দুই বছরে বাংলাদেশ অসাধারণ খেলেছে ঠিকই, তবে দলে এখনো পর্যাপ্ত বদলি খেলোয়াড় নেই। এ নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফর-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপই করলেন মাশরাফি, ‘প্রায়ই শুনি আমাদের অনেক বদলি খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমি তেমন বদলি খেলোয়াড় দেখি না। যদি সাকিবের বদলি কাউকে খেলাতে চান, দেখবেন নেই। তামিমের বদলি পাওয়াও কঠিন। এটা দল ও খেলোয়াড়ের জন্যও কঠিন। তবে ধীরে ধীরে আমাদের বদলি খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে। আরও সময় লাগবে।’ কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টের আগে ছন্দে থাকা খেলোয়াড় চোটে পড়লে দলে কতটা প্রভাব পড়ে, সেটির একটি উদাহরণ দিলেন মাশরাফি, ‘সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজে আমরা মোস্তাফিজকে পাইনি। কিছুটা হলেও ক্ষতি হয়েছে। ও থাকলে হয়তো দুটি টেস্টই কিংবা ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারতাম। আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের ফিট থাকা জরুরি। মোস্তাফিজের সঙ্গে কালও কথা হয়েছে। এখন সে মোটামুটি ভালো। আরও কিছুদিন সময় আছে। আবার এর মধ্যে দুজন চোটে পড়েছে। সমন্বয় করে নিতে হবে।’ নিউজিল্যান্ড সফরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে কাল। বাংলাদেশ দলের একাংশ কাল রাতেই উড়াল দিয়েছে। বাকিরা যাবেন আগামীকাল রাতে। দেশের মাটিতে গত দুই বছরে বেশির ভাগ সিরিজই জেতা মাশরাফিদের সামনে এবার কঠিন চ্যালেঞ্জ। দেশের মাটির সাফল্যের অনুবাদ নিউজিল্যান্ডেও করতে পারার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘দেড়-দুই বছর আগে আমরা লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম, দেশে অন্তত ৮০ শতাংশ ম্যাচ জিতব। আমরা তাতে সফল হয়েছি। এখন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ, দেশের বাইরে খেলা। বড় দলগুলোর জন্যই এটা কঠিন, আমাদের জন্য আরও বেশি কঠিন। নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া একটু অন্য রকম। তবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যেভাবে দেশের মাটিতে খেলেছি, ভালো খেলার স্মৃতিগুলো যদি মনে করে ওখানেও খেলতে পারি আশা করি ভালো কিছু হবে।’


আজ বিপিএল ফাইনাল। খুব কি মন ভরেছে? নাকি ভরেনি? প্রত্যাশা কি মেটাতে পেরেছে সব তারকাই?


তৃষ্ণা মেটাতে পারেননি গেইল। ছবি: প্রথম আলো‘আমাদের হয়তো তার কাছ থেকে আরও বেশি আশা ছিল। সেটা পূরণ করতে না পারলেও ও মনপ্রাণ দিয়েই চেষ্টা করেছে।’
এলিমিনেটরে হেরে কিছুক্ষণ আগে চিটাগং ভাইকিংস বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। ম্যাচের পরই সংবাদ সম্মেলনে এসে সতীর্থ ক্রিস গেইলকে নিয়ে কথাগুলো বললেন ভাইকিংস অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সেদিন সংবাদ সম্মেলনে কোনো সতীর্থকে নিয়েই নেতিবাচক কিছু বলেননি তামিম, বরং অভিনন্দন জানিয়েছেন সবাইকে। গেইলের ক্ষেত্রেও একই।
তবে একটু হতাশাও কি ছিল না তামিমের? বা চিটাগাং সমর্থকদের? বড় আশা করে নিয়ে আসা হয়েছিল বিপিএলে আগের তিন আসরে তিনটি সেঞ্চুরি করা গেইলকে। গেইলও এসে বেশ তাঁর মতো করে আওয়াজ তুললেন—এবার হবে ছক্কা বৃষ্টি। কিন্তু এবার একটা ফিফটিও আসেনি টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালার ব্যাট থেকে। মোট রান মিলিয়েই সেঞ্চুরি পেরিয়েছে একটুর জন্য, ৫ ম্যাচে রান ১০৯। গেইলের ব্যাট যা একটু-আধটু হেসেছে রাজশাহী কিংস ও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে, দুটিতেই অবশ্য আউট চল্লিশের ঘরে। সর্বোচ্চ ৪৪, রাজশাহীর বিপক্ষে।
সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন সৌম্য সরকার। কি জাতীয় দল, কি ঘরোয়া ক্রিকেট—রানই যেন হারিয়ে গেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ১২ ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ১৩৫। সর্বোচ্চ ইনিংসটাই মাত্র ২৬ রানের! ১২.২৭ গড়, সৌম্য ঠিক রংপুরের ‘আইকন’ হতে পারেননি।
ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ২১ নম্বরে, বোলিংয়ে সাকিব ১৩-এর বাইরে! ছবি: প্রথম আলোশুধু বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৬৯ রানের একটা ইনিংস বাদ দিলে ডোয়াইন স্মিথের বিপিএলও কেটেছে হতাশায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে আটটি ম্যাচ খেলেছেন, রান করেছেন মাত্র ১৬৩। বরিশালের সঙ্গে ম্যাচটি বাদ দিলে বাকি সাত ম্যাচে মাত্র ৯৪! অবশ্য চার-ছক্কা ভালোই মেরেছেন স্মিথ। চার ১৯টি, ছক্কা ৬টি।
১৩ ম্যাচে ১২ ইনিংস, তাতে ২১৪ রান। বল হাতে ১১ উইকেট। সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স কেমন ছিল? একদমই সাকিবীয় নয়। বরং বেশ ওপরের দিকে ব্যাটিং করেছেন, ১২ ইনিংসের ১০ বারই আউট হয়েছেন—ব্যাট করার যথেষ্ট সুযোগ পাননি এমন দাবি করার সুযোগ নেই। সেই সাকিব রান করাদের তালিকায় পড়ে আছেন ২১ নম্বরে। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় ১৩ জনের মধ্যেই নেই। একেকটা উইকেট পেতে খরচ করেছেন ২৮ রান। কোনো ম্যাচেই ২টির বেশি উইকেট নেই।
গত ​বিপিএলের চমক ছিলেন আবু হায়দার। দেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট (১৯টি) নিয়ে নিজেকে চিনিয়েছিলেন। এবারও তাঁর ওপর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এবার উদযাপনের সুযোগই আবু হায়দার পেলেন মাত্র চারবার। ৭ ম্যাচে ২৫ ওভার করে বরিশাল বুলস পেসার উইকেট পেলেন মাত্র চারটি!
ডোয়াইন ব্রাভো আর শহীদ আফ্রিদিরাও নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ব্রাভো অলরাউন্ডার পরিচয় ভুলে পুরোদস্তুর বোলার হয়ে গেছেন। ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েও কেন ফ্লপ তা​লিকায়? ব্যাটিংয়ে যে ৮ ইনিংসে রান করেছেন মাত্র ৯১। প্রথম দিকে ওপরে ব্যাটিং করলেও ফর্ম দেখেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল টপঅর্ডার থেকে। ব্যাটসম্যান ব্রাভো মোটের পর ফ্লপ।
আফ্রিদিরও গল্পটা একই। ১১ ম্যাচে রংপুর রাইডার্স অলরাউন্ডার উইকেট নিয়েছেন ১৭টি। কিন্তু ব্যাট হাতে ঠিক অতটা আলো ছড়াতে পারেননি। ৮ ইনিংসে রান ১১৯। 'আফ্রিদি-ঝড়' দেখার সুযোগ এক ম্যাচেই যা পেয়েছিলেন রংপুর সমর্থকেরা, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে। ১৯ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় করেন ৩৮ রান।
ভয়কাতুরে! ছবি: প্রথম আলোকুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লিটন দাসের ব্যর্থতাটা চোখে লেগেছে। ১১ ম্যাচের মধ্যে ৭ বার ব্যাট হাতে নেমেছেন এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু রান? মাত্র ৬৪, সর্বোচ্চ ২৪। শুধু কুমিল্লার হিসেব করলে গত আসরের বিস্ময় আসহার জাইদি এবার হতাশ করেছেন। এবার সুযোগই পাননি, খেলেছেন মাত্র তিনটি ম্যাচ। রান করেছেন ২৯, উইকেট? একটিও নেই!
ঢাকা ডায়নামাইটসের জন্য হতাশা হয়ে এসেছে রবি বোপারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের পারফরম্যান্স। এমনই যে, দুজন সুযোগই পাননি খুব বেশি ম্যাচে। দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে জয়াবর্ধনে করেছেন মাত্র ৪২ রান। বোপারা অবশ্য ম্যাচ খেলেছেন ৬টি। তাতে ব্যাট হাতে হতাশ, রান করেছেন মাত্র ৩৫, বল হাতে যদিও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশের বোলারদের হিসেব করলে চোখে লেগেছে সাকলাইন সজীবের ব্যর্থতা। ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম প্রতিভাবান এই বাঁহাতি স্পিনার ৮ ম্যাচে ২৭ ওভার করেও উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৫টি।
গতবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে ফাইনালে দুর্দান্ত খেলা অলক কাপালি এবার ব্যর্থ। খেলেছেন এবার খুলনা টাইটানসে, সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ছয়টি ম্যাচে। তাতে ব্যাটও হাসেনি। কাপালি রান করেছেন মাত্র ৪৩, সর্বোচ্চ ২৩। বল হাতে দুটি ওভার করেছিলেন, তাতে উইকেট পাওয়ার অবশ্য তিনিও করেছিলেন কি না, সন্দেহ আছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বড় হতাশা হয়ে এসেছে মেহেদী হাসান মিরাজের পারফরম্যান্স। অবশ্য ব্যাট করারই তো তেমন সুযোগ পাননি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের নায়ক এই তরুণ অলরাউন্ডার, বেশির ভাগ সময় নেমেছেন শেষদিকে। বল হাতে ১৪ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন। তবে ব্যাট হাতে পারফরম্যান্সটা করুণ, ১৪ ম্যাচে ১০ ইনিংস। রান করেছেন ৭৮, সর্বোচ্চ ৪১। অবশ্য মিরাজ ব্যাট হাতে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরার সুযোগও পেয়েছেন কম।
এই ‘ফ্লপ’দের অনেকেই আজ নামার সুযোগ পাচ্ছেন, বাকিরা বিদায় নিয়েছেন। কে জানে, সেরাটা হয়তো আজকের জন্যই জমিয়ে রেখেছেন সাকিব-ব্রাভোরা!
 Youtube video downloader Softer

Download this file here


http://up07.net/vuc6oelm0jvs